আসছে বাজেটের এডিপি

বড় প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নের পরামর্শ

Looks like you've blocked notifications!

আসছে অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বড় আকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার। বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার দাঁড়াচ্ছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় বিষয়টি অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রবৃদ্ধি সহায়ক বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫) বাজেটে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পরে বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে রাখা হয় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। আর প্রথম নয় মাসে যার মাত্র ৪৪ শতাংশ খরচ হয়েছে। তবে এ সময়ে বরাদ্দের ২০ শতাংশ অর্থও খরচ করতে পারেনি একটি মন্ত্রণালয় ও তিনটি বিভাগ। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা। এর ৫৮ হাজার কোটি টাকার জোগান দেবে সরকার এবং বাকি অর্থ আসবে বৈদেশিক সহায়তা থেকে। 

এবারের বাজেটের এডিপি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ) ড. শামসুল আলম বলেন, ‘জনসম্পদ সৃষ্টি করা; যত দ্রুত সম্ভব অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো যাতে দূরীভূত হয়, সে বিষয়ে এবার নজর দেওয়া হচ্ছে। বড় কয়েকটি মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নে চলে আসবে এই আর্থিক বছরে। সেগুলোর জন্য বরাদ্দের কোনো ঘাটতি হবে না। সেগুলোর জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

আসছে এডিপিতে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে পরিবহন খাতে। যেখানে শুধু পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। আর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা এবং মেট্রোরেল প্রকল্পেও বরাদ্দ রাখা হচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

বরাদ্দের দিক থেকে এর পরেই থাকছে বিদ্যুৎ, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাত এবং শিক্ষা ও ধর্ম খাত। 

এডিপিতে অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। তার ফলে যে প্রকল্প তিন বছরে হওয়া দরকার, তা পাঁচ, সাত, এমনকি দশ বছর লাগে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। এর ফলে খরচ বেড়ে যায়। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত।’ 

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘গ্রামে প্রচুর রাস্তা হয়ে গেছে। এখন রাস্তার সঠিক সংস্কার ও ব্যবস্থাপনা দরকার। আর যেটা দরকার, সেটা হলো হাইওয়েগুলোকে উন্নত করা।’ 
এ ছাড়া আসছে অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।