দাম ভালো পেয়ে খুশি ঢেঁড়সচাষি

Looks like you've blocked notifications!

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদীতে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগের মৌসুমের চেয়ে এবার দামও কিছুটা বেশি। এতে ঢেঁড়সচাষিরা বেশ খুশি।  
 
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার ঈশ্বরদীতে ঢেঁড়স আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ করা হয়েছে আরো কয়েক হেক্টর বেশি জমিতে। গত মৌসুমে ঢেঁড়স আবাদ হয়েছিল প্রায় পৌনে ২০০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে বিঘাপ্রতি ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ মণ হলেও এবার প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ মণ। 

আড়তদাররা জানান, ঈশ্বরদীর মুলাডুলি সবজি হাট থেকে প্রতিদিন ৩৫-৪০ ট্রাক ঢেঁড়স দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকার ঢেঁড়স কেনাবেচা হচ্ছে।
 
মুলাডুলি সবজি হাটে দেখা যায়, হাটের পুরো জায়গায় ক্রয়কৃত ঢেঁড়স স্তূপ করে রাখা হয়েছে। স্থানসংকুলান না হওয়ায় আশপাশের এলাকাতেও হাটের বিস্তার ঘটেছে। সপ্তাহের প্রতিদিনই মুলাডুলিতে সবজির হাট বসে। 

ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ছাড়াও আটঘরিয়া, বড়াইগ্রাম ও লালপুরের প্রায় ১০ হাজার চাষি ঢেঁড়স চাষ করেন।
 
মুলাডুলির ঢেঁড়সচাষি মিলন খন্দকার জানান, এবার ঢেঁড়সের ফলন ভালো হয়েছে। তাঁর প্রতি বিঘা জমিতে ঢেঁড়স আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘার ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।

মুলাডুলি সবজি হাটের আড়তদার সমিতির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান বাবু জানান, ঢেঁড়স বেচাকেনার কাজে মুলাডুলি সবজির হাটে প্রতিদিন প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করেন। কোনো বিঘ্ন না ঘটলে আড়তে ঢেঁড়স আরো উঠবে। 

ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা খুরশিদ আলম জানান, চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীতে ২০০ হেক্টরের বেশি জমিতে ঢেঁড়স আবাদ হয়েছে। গতবার প্রতি হেক্টরে ফলন ছিল ১১ টন, আর এবার হয়েছে সাড়ে ১১ টন।