আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু বৃহস্পতিবার
পঞ্চম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা (বিআইটিএফ), ২০১৫ আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আজ মঙ্গলবার সোনাগাঁওয়ে হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এ কথা জানান।
তিন দিনব্যাপী (২১-২৩ মে) মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পর্যটনসচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ও ত্রিপুরার পর্যাটনমন্ত্রী রতন ভৌমিক।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ১৫টি দেশের ৫৫টি এয়ারলাইনস, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটনবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৩৫টি স্টল অংশ নেবে। মেলা উপলক্ষে এসব প্রতিষ্ঠান হোটেল ও প্যাকেজ বুকিংয়ে ছাড়সহ বিভিন্ন সুযোগ থাকবে। এবারের মেলায় ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ট্যুরিস্টস ডেভেলপমেন্টের (বিএফটিডি) চেয়ারম্যান হাকিম আলী বলেন, ‘আমাদের দেশ এখনো পুরোপুরিভাবে পর্যটনের গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবারের মেলায় আমরা ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি। গত বছর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও মেলায় প্রায় আট মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল। এবার তো দেশের পরিস্থিতি ভালো। ২০২০ সালের মধ্যেই এ আয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে পারব।’
ছয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এসে বাংলাদেশকে আরো ভালো করে দেখার সুযোগ পাবেন বলে আয়োজকরা মনে করেন। তাঁরা বলেন, গড়ে প্রতিদিন দুই হাজারেরও বেশি পর্যটক ভারতে ঘুরতে যান। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে সে পরিমাণ পর্যটক আসেন না। এখন আমরা রিজিওনাল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছি। আগামীতে বাংলাদেশে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা।
ট্যুরিজমের জন্য সরকারের একটি খাত রাখা, ভিসা প্রসেসিং সহজতর করা, অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা করার বিষয়ে সরকারকে বিবেচনা করতে আহ্বান জানান তাঁরা।
এবারের মেলায় প্রতিদিন লাকি ড্র অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিজয়ীর জন্য বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে দুটি করে টিকিট উপহার হিসেবে থাকবে।
মেলা উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের জন্যও পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। মেলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ও আকর্ষণীয় রিপোর্ট যাঁরা করবেন তাঁদের জন্য সঙ্গীসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ করে দেবে আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআইটিএফের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল একরাম রাজু, টুয়াবের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকবর উদ্দিন আহমেদ, হোটেল সোনারগাঁওয়ের মহাব্যবস্থাপক এলড্রিজ কে ম্যাক এওয়ান, মিডিয়া কাউন্সিল ফর ট্যুরিজম বাংলাদেশের (এমসিটিবি) সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।