বিলম্বে লেনদেনের ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার কারিগরি ত্রুটির কারণে বেলা ২টা ২০ মিনিটে লেনদেন শুরু হয়। স্বাভাবিক নিয়মে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চলে। মোট এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটে আজ লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।

ডিএসইর লেনদেন শুরুতে বিলম্ব হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিলম্বে লেনদেন শুরুর বিষয়ে ডিএসইর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজই প্রতিবেদন দিতে হবে।’          

এর আগে লেনদেনে বিলম্ব হওয়া সঙ্গে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটি সমাধানে কাজ চলছে। আইটি বিভাগ কাজ করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘সার্ভারে সমস্যা। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ফাইল আপলোড করা যাচ্ছে না। সমস্যা সমাধান হলে লেনদেন চালু হতে পারে। তবে বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’    

কারিগরি ত্রুটির কারণে এর আগেও ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের এ ধরনের কারিগরি ত্রুটিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন যথাসময়ে শুরু হয়।

ডিএসইতে আজ ৩০০টি কোম্পানির আট কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৩ কোটি ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৫ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা কম।     

ডিএসইএক্স আজ আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪৪৮৪.৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৬৮২.৪৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১.৫২ পয়েন্ট কমে ১০৮১.৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম।

সিএসইতে আজ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি। সিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো কেপিসিএল, সাইফ পাওয়ার, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, বিএসসিসিএল, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইফাদ অটোস, ডেসকো লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার, এএফসি অ্যাগ্রো ও বেক্সিমকো লিমিটেড।

দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো পাওয়ার গ্রিড, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট,রূপালী ব্যাংক,আইসিবি সোনালী বন্ড,সাইফ পাওয়ার,ডেসকো লিমিটেড,চতুর্থ আইসিবি, এএফসি অ্যাগ্রো, ফু-ওয়াং ফুডস ও ইফাদ অটোস।

বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো- ফ্যামিলিটেক্স,বেক্সিমকো লিমিটেড, জাহিন স্পিনিং,সপ্তম আইসিবি,রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স,জনতা ইন্স্যুরেন্স,সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স,আরডি ফুড,আইসিবি প্রথম এনআরবি ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স।