উদ্বোধনের এক ঘণ্টার মধ্যে আখ মাড়াই বন্ধ!
৩০২ কোটি টাকা দেনার ভার নিয়ে পাবনা সুগার মিলে আখ মাড়াই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হলেও আখের অভাবে এক ঘণ্টা পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রীর সহধর্মিণী কামরুন্নাহার শরীফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের পরিচালক (বাণিজ্যিক) যুগ্ম সচিব মীর জহুরুল ইসলাম, ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আক্তার, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তালুকদার আবদুল হাই, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল, সাহাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ, পাসুমি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা ইব্রাহিম হোসেন, আরিফুর রহমান আরিফ, আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, আহম্মদীদ, আখচাষি মুর্দা মালিথা প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে আখচাষিদের ব্যাংকিং পদ্ধতিতে আখের মূল্য তুলে দেওয়া হয়। আখ ডোঙায় ফেলে আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এক ঘণ্টা অতিবাহিত না হতেই আখের অভাবে মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাবনা সুগার মিলে প্রতিদিন এক হাজার ৬০০ টন আখ মাড়াই করার ক্ষমতা থাকলেও মাত্র ৫০ টন আখ দিয়ে মাড়াই কার্যক্রম শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এ বছর ২০১৬-১৭ আখ মাড়াই মৌসুমে চার হাজার ১১৫ একর জমিতে আখ রয়েছে। আখ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়া মাড়াই দিবস ধার্য করা হয়েছে ৪৫ দিন। চিনি উৎপাদন করার সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের হার ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতা জানান, পাবনা সুগার মিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও আখচাষিদের প্রতি অবহেলার কারণে এই মাড়াই মৌসুম ৪৫ দিন ধার্য করা হলেও এক মাস চলবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।