৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ

Looks like you've blocked notifications!

কোভিড অভিঘাতের পর চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করবেন।

এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করে নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (৩১ মে) প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন অব্যাহত রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং এক্সটার্নাল সেক্টরের বিদ্যমান অস্থিরতা কাটিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানিয়েছে, দেশে চলমান মূল্যস্ফীতিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়ন, আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও ০.৫০ শতাংশ বাড়ানো, এক লাখ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি এবং সরকারি ঋণের সুদব্যয় যোগান নিশ্চিত করাকে আগামী অর্থবছরের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৭.৬৪ লাখ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকবে ২.৬৩ লাখ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারের পরিচালন ব্যয়খাতে বরাদ্দ হবে। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বরাদ্দ থাকবে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের বাকি ৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে পরিচালন খাতে। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা, পণ্য ও সেবা ক্রয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা, ঋণের সুদ পরিশোধে ১.১০ লাখ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ১.১৮ লাখ কোটি টাকা এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১.০৫ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।