ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা অযৌক্তিক : সিপিডি

Looks like you've blocked notifications!
সিপিডির লোগো

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটের কোনো মিল নেই উল্লেখ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, নানা কারণে দেশের অর্থনীতির এখন ভঙ্গুর দশা। এমন পরিস্থিতিতে ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। যাদের করযোগ্য আয় নেই, তারাও এই করের আওতায় পড়বেন। এ কারণে উদ্যোগটি নৈতিকতার দিক থেকে ঠিক নয়। এটি অযৌক্তিক। এ ছাড়া বাজেটে আইএমএফের শর্ত পূরণের স্পষ্ট আভাস রয়েছে।

আজ শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে এমন অভিমত তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এ চাপ মোকাবিলায় বাজেটে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপই নেই। উল্টো অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশের মধ্যে রাখা হবে। এ ছাড়া বাজেটে এমন কিছু রাজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কিছু পণ্যমূল্য বাড়বে, যার প্রভাব সরাসরি মানুষের, তথা ভোক্তার ওপর পড়বে। বাজেটে সরকারের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে সাত শতাংশ। বাজেটে যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই বাস্তবভিত্তিক নয়। তাই এসব লক্ষ্য অর্জন শেষ পর্যন্ত হবে না।’

ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘এমন এক সময়ে বাজেট দেওয়া হয়েছে যখন আইএমএফ থেকে কঠিন শর্তে সরকার ঋণ নিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়েও সরকারের পরিষ্কার কোনো বক্তব্য নেই।’