তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফের

Looks like you've blocked notifications!
আইএমএফের লোগো

বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার শর্ত হিসেবে ২০২৪ সালের মার্চে নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার দেওয়ার আগে আর্থিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল।

আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চে এক হাজার ৯২৬ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত রিজার্ভ এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নিচে ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘শর্ত পূরণে আইএমএফ কিছুটা কঠোর হওয়ায় সংস্থাটির ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে জটিলতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে।’ তিনি জানান, রিজার্ভ ঘাটতির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বেশ কিছু ধারণা জানিয়েছেন। আইএমএফ শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ইতিবাচক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ডলার সংকট নিরসনে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে সরকার। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফের একটি পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশ সফর করছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইএমএফ নিট রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা সহজ করলেও বাংলাদেশের পক্ষে মার্চের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন।’

ড. মনসুর বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য নিট রিজার্ভের নতুন মান নির্ধারণ করতে পারে অথবা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় বিলম্বিত করতে পারে।’