নিরাপদের শীর্ষে ব্যাংক খাত, ঝুঁকির দিকে বিবিধ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতি) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। পিই রেশিও হিসেবে বর্তমানের ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর পর্যালোচনা দেখা যায়, গেল সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, যা বিগত সময়গুলোর তুলনায় কম। আবার ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ বেশি নিরাপদ অবস্থানে আছে ব্যাংক খাত। আর বিনিয়োগ ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে বিবিধ খাতে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সে হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। এসব বিবেচনায় গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইয়ের পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তেমনি খাতভিত্তিক বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে একই অবস্থা রয়েছে।
বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে আছে ব্যাংক খাত। খাতটির পিই রেশিও ছয় দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট। এরপর বিনিয়োগ নিরাপদ জায়গায় আছে টেলিযোগাযোগ খাত। খাতটির পিই রেশিও সাত দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। পরে অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। খাতটির পিই রেশিও আট দশমিক ৬২ পয়েন্টে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে সিমেন্ট খাতে ১০ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে ১২ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ১৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, বিমা খাতে ১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ২১ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট, ট্যনারি খাতে ২৬ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্টে, পাট খাতে ২৯ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, মিউচ্যুযাল ফান্ড খাতে ৩২ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ৩৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে ও বিবিধ খাতে ৩৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।