পাঁচ গ্রুপের মালিকদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে এনবিআরের চিঠি
বেক্সিমকো, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, সামিট ও নাসা গ্রুপের মালিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ চিঠি দিয়েছে বলে এনবিআর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও কর উদ্ধারের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে সিআইসি জানিয়েছে তাদের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। জানা গেছে, তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন পন্থায় বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে।
পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০০৩ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিআইসি পরিচালিত এ বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের (এস আলম) বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এনবিআর। সংস্থাটির আয়কর বিভাগ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে। তার তিনদিন পর ২০ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব তলব করে এনবিআর।