শুক্রবার পর্দা নামতে যাচ্ছে বাণিজ্য মেলার
সময়সীমা না বাড়ালে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শেষে পর্দা নামতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মেলাজুড়ে ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল লক্ষ্য করা মতো। এদিনেও বিভিন্ন পণ্যে দেওয়া অফারের বিশেষ নজর ছিল ক্রেতাদের।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সহকারী পরিচালক আবু হাসান বলেন, বাণিজ্য মেলার সময়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। তাই আগামীকাল শুক্রবার এবারের বাণিজ্য মেলার শেষদিন।সরেজমিনে দেখা যায়, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকেই মেলায় জনসাধারণের প্রবেশ বাড়তে থাকে। এতে বেলা ১২টার পরেই মানুষে সমাগমে মেলার প্রতিটা প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। বিশেষ করে মেলার মিনি শিশু পার্ক, কসমেটিক, কাপড়, ফার্নিচার, ইলেকট্রিকসহ খাবার প্যাভিলিয়ন-স্টলগুলোতে মানুষের ভিড় বেশি ছিল।
এবারের বাণিজ্য মেলার শেষদিন আগামীকাল শুক্রবার জানিয়ে প্যাভিলিয়ন-স্টলগুলোর বিক্রেতারা বলেন, এখন অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। মেলার শুরু থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি ছিল না। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে বেচাবিক্রি ভাল হয়েছে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।
দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় (২০২৫) এবারে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। আর বাকি ১১টি স্টল সাতটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া। এবারের বাণিজ্যমেলা সাজানো হয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান থিমে। এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্নার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং উত্তর-পূর্ব (৬ একর) পাশে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পাশে ছত্রিশ জুলাই চত্বর ও নামাজ ঘর রয়েছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।