প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৭.২০ শতাংশ

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি প্রথম ১৫ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে আট কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে তুলনায় চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ। আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৯০১ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ১৮ পয়সা হিসেবে)। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে আট কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল সাত কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার ডলার বা ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
অন্যদিকে, চলতি বছরের গত জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল সাত কোটি চার লাখ ৯১ হাজার ডলার। গত জানুয়ারির তুলনায় চলতি ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ডলার।
চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ হাজার ১৩৫ কোটি দুই হাজার টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আট কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে তিন লাখ মার্কিন ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ২৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় দুই হাজার ৮৩৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এরপর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে সাত কোটি ২০ হাজার ডলার এসেছে।