ভ্যাট রসিদ না নেওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ : এনবিআর চেয়ারম্যান

ভ্যাট দিচ্ছেন ভোক্তা কিন্তু ভ্যাটের রসিদ না নেওয়ায় সেই টাকা এনবিআর পাচ্ছে না। এতে দেশ রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই কাঙ্খিত রাজস্ব আহরণের স্বার্থে ভোক্তাদের আরও সচেতন হতে হবে, এমনটা বললেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ভ্যাট রসিদ সংরক্ষণ করুন, এনবিআরের লটারিতে বিজয়ীদের জন্য রয়েছে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার।
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এসময় বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি, অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওষুধ শিল্প সমিতি, রাবার প্লাস্টিকশিল্প এবং ক্ষুদ্র মাঝারি বৃহৎ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা।
ভ্যাট বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন জরুরী জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ক্রেতারা যে পরিমান ভ্যাট দিচ্ছে, সেই পরিমান ভ্যাট এনবিআরে আসে না। মানে ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসছে না। কাঙ্খিত রাজস্ব আহরণে ভোক্তাদের আরও সচেতন হতে হবে।
ক্রেতারা ভ্যাট দিয়ে রিসিট না নেওয়ার কারণে তাদের দেওয়া সেই অর্থ এনবিআরে আসছে না জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, আমি বলছি আপনারা ভ্যাট দিলে অবশ্যই তার রসিদ নিবেন। একইসঙ্গে সেই রসিদ নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখবেন। এতে দুই লাভ হবে। ভ্যাট রশিদ নিলে দেশ পাবে সেই অর্থ। আবার মাসশেষে সেই ভোক্তা অংশগ্রহণ করবে এনবিআরের লটারিতে। সেখানে লটারি বিজয়ীদের জন্য রয়েছে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার। যদিও এই লটারির ব্যবস্থা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। শিগগিরই এটা চালু হবে।
ভ্যাটের সিঙ্গেল ডিজিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা একমত হলে, ভ্যাটের বিভিন্ন হার বন্ধ করতে পারি। সরকার ভ্যাটহার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসতে চাইছে, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহায়তা চাইছি। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পেলে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এনবিআর একটি সফটওয়্যার তৈরি করে দিতে আগ্রহী।
সিগারেটের ওপর কর বাড়ছে না জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, দেশে সিগারেটের চেয়ে বিড়ির ওপরে কর কম। তাই আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে সিগারেটের ওপর কোনো ধরনের কর বাড়ানো হবে না। তবে নকল বিড়ির উৎপাদন বন্ধ না করলে বিড়ি মালিক শিল্প সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।