আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. আইয়ুব মিয়া। তিনি বলেন, ব্যাংকটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে কারিগরি দল কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জানান, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইন-কানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনাই ছিল আজকের বৈঠকের মূল বিষয়।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।

সরকারি মালিকানায় একটি ইসলামী ব্যাংক চালু হওয়া জাতির জন্য ইতিবাচক— এমন মন্তব্য করে আইয়ুব মিয়া বলেন, আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে।

পরে মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির জন্য প্রস্তুত করা প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন আইয়ুব মিয়া। শিগগিরই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা হবে। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংকটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে।

গত রোববার গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ পর্ষদ সভায় সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংকটি সমস্যাগ্রস্ত পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে অধিগ্রহণ করবে। ব্যাংক পাঁচটি হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

এদিকে আগামী সপ্তাহ থেকেই দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়া শুরু হবে। বড় অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ প্রণয়নের কাজ চলছে।