নতুন ৫০০ টাকার নোট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
নতুন নোট পাওয়ার আগ্রহ কমবেশি অনেকেরই থাকে। সেটি যদি হয় নতুন নকশার কচকচে নোট তাহলেতো কোনো কথাই নেই। তবে দুঃখের বিষয় হলো, সেই নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট মিলছে না ব্যাংকে। সেই নোট মিলছে ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজারে।
গ্রাহকদের খুশির আবেগকে পুঁজি করে কয়েকবার হাতবদল করে নতুন ডিজাইনের এই নোট নিয়ে ব্যবসায় মেতেছে খোলাবাজারে একটি চক্র। সেখানে টাকার নতুন নোট পেতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। রাজধানীর মতিঝিলে আইনকে পাশ কাটিয়ে প্রকাশ্যে বেচাকেনা হচ্ছে আজকে বাজারে আসা ৫০০ টাকার নতুন নকশার নোট, সঙ্গে বেচাকেনা হচ্ছে অন্যসব নতুন টাকার নোটও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের রাস্তার পাশে বেচাকেনা হচ্ছে আজকে আসা ৫০০ টাকার নতুন নকশার নোট। নতুন নকশার এই নোট পেতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে নোটপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যসব নতুন নোটেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
জানা যায়, নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে ছাড়া হয়, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। অবশ্য নতুন এই নোট দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো হয়েও গ্রাহকের হাতে যাচ্ছে।
নতুন নকশার নোট ব্যাংকে পাইনি জানিয়ে আসরাফ হাসান নামের একজন গ্রাহক বলেন, বেলা ১১টায় সিটি ব্যাংকে টাকা তুলতে যাই। টাকা তোলার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট দিতে বলি। সেই কর্মকর্তা বলেন, নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট তাদের কাছে নেই। পরে দুপুর একটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের সামনে খোলা রাস্তার পাশে নতুন নকশার নোট বেচাকেনা করতে দেখি। সেখান থেকে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট ছয়টি কিনেছি। অবশ্য এ জন্য আমাকে ৬০০ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হয়েছে।
আজ সকালে গিয়েছি কিন্তু ব্যাংকে নতুন নকশার নোট পাইনি জানিয়ে রশিদ মেহেদী নামের আরেক গ্রাহক বলেন, কিন্তু এখন দেখছি মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশের রাস্তায় বেচাকেনা হচ্ছে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট। সেখান থেকে নতুন নকশার তিনটি নোট কিনেছি, অতিরিক্ত ২৫০ টাকা দিয়ে।
কীভাবে নতুন নকশার নোট এখানে আসছে, কারা বিক্রি করছে এ প্রসঙ্গে মতিঝিলে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, জানি না, এত কথা বলা যাবে না। কর্তারা আমাদের দিয়ে যায়, আমরা অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনেছি। বাজারের নতুন নোটের চাহিদা অনেক।
টাকার নতুন নোট বেচাকেনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, গ্রাহকদের কাছে নতুন টাকার নোট বিনিময় করা হয়, বেচাকেনা নয়। কিন্তু আজকে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট আমরা গ্রাহকদের সরাসরি দেইনি। আমরা দিয়েছি বাণিজ্যিক ব্যাংককে। খোলাবাজারে নোট কীভাবে গেল, সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান