অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শাবিপ্রবি’র অনশনরত শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!
শাবিপ্রবি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থী কাজল দাসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছবি : এনটিভি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিলেট নগরীর জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীর নাম কাজল দাস। তিনি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বিকেল ৩টা থেকে অনশন করে আসছিলেন তিনি। অসুস্থ হওয়ার আগপর্যন্ত প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে অনশন থাকার পাশাপাশি কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে তাঁর।

জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. বাবলু হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জ্বর ও প্রেশার কমে যাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীর অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাই দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শাবিপ্রবি চিকিৎসাকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসরাবা সুলতানার নেতৃত্বে একদল স্বাস্থ্যকর্মী আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তবে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

ডা. মাসরাবা জানান, তাঁরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলের পাশেই পুরো সময় থাকবেন। শিক্ষার্থীরা চাইলে তিনি দায়িত্ব পালন করতে চান।

এদিকে, আজ‌ও আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছে।

গত রোববার বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে শুরু হয় ছাত্রীদের আন্দোলন। পরে সে আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।

এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ওই রাতেই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। যদিও পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এদিকে, বুধবার বিকেলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। চলমান ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এতে দোষী হলে সরকারের নির্দেশ মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

‘উপাচার্য কোনো রকম সংশ্লিষ্ট নয়’ দাবি করে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, খুবই মর্মাহত।’