আর্সেনিক নিয়ে রাবির সঙ্গে জাপান ও মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

Looks like you've blocked notifications!
রাবিতে গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন জাপানের সোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেইইচিরো হিমেনো। ছবি : এনটিভি

মানবদেহে আর্সেনিকের প্রভাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিদেশীয় গবেষণার কাজ চলছে। রাবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে জাপানের সোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফার্মেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় আর্সেনিক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছেন।

আজ রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গত ১৯ জানুয়ারি রাবিতে এসেছেন সোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেইইচিরো হিমেনো।

বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘রাবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের মো. খালেদ হোসেনের নেতৃত্বে সোয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা রাবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারে কাজ করছেন। এই গবেষণা কাজ পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এই গবেষণার উদ্দেশ্যে পরবর্তী পর্যায়ে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বাংলাদেশ ও জাপান সফর করবেন। জাপানের অগ্রণী গবেষণা সংস্থা জাপান সোসাইটি ফর প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) এই গবেষণায় অর্থায়ন করছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ড. সেইইচিরো হিমেনা ও অধ্যাপক খালেদ হোসেন প্রায় ১৩ বছর ধরে মানবদেহে আর্সেনিকের প্রভাব, বিশেষ করে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও রক্তচাপ, বিভিন্ন চর্মরোগের সঙ্গে আর্সেনিকের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন। ইতোমধ্যে তাঁদের প্রায় ৩০টি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রবন্ধে তাঁরা বিভিন্ন দুরারোগ্য ও প্রাণঘাতী রোগের সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই আর্সেনিকের প্রভাব কাজ করে বলে গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছেন।’

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে আরও বলেন, ‘বর্তমানে তাঁরা ডায়াবেটিসের সঙ্গে মাংসপেশীর শক্তিহ্রাস ও ক্রমে তা ক্ষয়ে যাওয়া এবং শরীরে চর্বি জমার ফলে সামগ্রিকভাবে অন্যান্য দুরারোগ্য অসুস্থতার সৃষ্টি হয় এই অনুমিতি নিয়ে কাজ করছেন। এই গবেষণায় মানবদেহে মাংসপেশী ও চর্বির পরিমাণ এবং শরীরের অংশবিশেষে মাংসপেশীর শক্তি ও চর্বির পরিমাণ চিহ্নিত ও নির্ণয়ের কাজে মাঠ পর্যায়ে, বিশেষ করে আর্সেনিক সংক্রমণের ঝুঁকিসম্পন্ন এলাকায় ব্যবহারের জন্য দুটি যন্ত্র আনা হয়েছে। রাবি প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সংশ্লিষ্ট গবেষণাগারেও যন্ত্র দুটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’