উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেই পাবিপ্রবিতে নিয়োগ পরীক্ষা  

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : এনটিভি

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার নেওয়া হচ্ছে আগামীকাল রোববার।

জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রকাশকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একাধিকবার স্থগিতকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর। এতে ২৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ওই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ছয় জন। পরে তাদের মৌখিক পরীক্ষা সন্তোষজনক না হওয়ার অযুহাতে কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কোনোরূপ লিখিত নোটিশ প্রদান না করে পরের বছর ১৩ জানুয়ারি ২০২০ নূন্যতম যোগ্যতা বাড়িয়ে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উত্তীর্ণদের মধ্যে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়টি অযৌক্তিক মনে করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন তিনজন নিয়োগ প্রার্থী।

বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চে তিনটি পদের মধ্যে একটি পদ পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে শূন্য রাখা এবং রিট পিটিশন করা প্রার্থীদের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগদান কিংবা আগের আবেদনের ভিত্তিতে কেন প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করে। এ সময় ওই বছরের ১২ মার্চ নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে। তবে আজ অবধি ব্যাখ্যা করা হয়েছে কি না তা জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা।

রিট পিটিশন দায়েরকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা আগামী ২৯ আগস্ট পরীক্ষার বিষয়টি শুনেছেন তবে তাঁরা কেউ প্রবেশপত্র পাননি।

এ বিষয়ে আইনজীবীর পরামর্শে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে পদ শূন্য রাখা এবং নূন্যতম সময় প্রদান সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা। আবেদনটি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর কথা।

আগামীকাল নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয় আমার কিছু বলার নেই। এটা উপাচার্য মহোদয় জানেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘নিয়োগ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। যা করছেন উপাচার্য করছেন।’

রিট পিটিশন করা নিয়োগপ্রার্থীরা জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি আবেদন না করেও ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর অংশগ্রহণকৃত ও লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ নিয়োগপ্রার্থীদের পুনরায় প্রবেশপ্রত্র দেওয়া হয়েছে কিন্তু আামাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়াও সেই নিয়োগ পরীক্ষা পরবর্তীতে একজন নিয়োগপ্রার্থী ও উপাচার্য এম রোস্তম আলীর ঘুষ লেনদেনের একটি অডিও ভাইরাল হয়।