কাঙ্খিত চাকরি পাওয়ার সাত পদক্ষেপ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : পিক্সাবে

কাঙ্খিত চাকরি পেতে প্রথমেই ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি রাখা যাবে না। বর্তমান চাকরিতে সন্তুষ্ট না হয়ে যদি নতুন চাকরি খুঁজতে থাকেন, তবে অবশ্যই এমন চাকরি বাছাই করুন যা আপনাকে মানসিক স্বস্তি দেবে। এর জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও অধ্যবসায়। ধৈর্য্য হারা হওয়া যাবে না। যে কোনো কাজে ধৈর্য্য ধরতে হয়। মনে রাখবেন, সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য্যশীলকে পছন্দ করেন।

কাঙ্খিত চাকরি বাছাই

প্রথমে লক্ষ্য ঠিক করুন। যে চাকরিটি করতে চান তা নির্ধারণ করতে পারলে আপনার কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এরপর ভাবুন চাকরিটি পেতে আপনার কী যোগ্যতা লাগবে। পাশাপাশি পছন্দসই বেতন, অবস্থান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিবরণগুলো ভেবে ফেলুন।

স্বপ্নের কাজটি নিয়ে কল্পনা

পরবর্তী ধাপ হলো চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্বপ্নের চাকরিতে কাজ করতে দেখা। কল্পনার আবেগ অনুভব করুন। নিজের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা শনাক্ত করে ফেলুন। কীভাবে চাকরিটি পাওয়া সম্ভব সেদিকে মনোযোগী হোন।

ইতিবাচক মানসিকতা

স্বপ্ন পূরণে আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, ইতিবাচক মনোভাব ও আত্মবিশ্বাসী হোন। মনে রাখবেন, নেতিবাচক মানসিকতা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।

পদক্ষেপ গ্রহণ করুন

সক্রিয়ভাবে চাকরি খোঁজা শুরু করুন। পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তবে কারো আশায় পড়ে থাকবেন না। এই ব্যস্ত সমাজে কেউ ডেকে নিয়ে চাকরি দেবে না। তাই চোখ-কান খোলা রাখুন। যুগোপযোগী জীবনবৃত্তান্ত ও কভার লেটার লিখে রাখুন। ইন্টারভিউর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।

অটল থাকুন

ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকুন। শুরুতেই সবকিছু একবারে পাবেন না । একটি শিশু হাঁটতে গেলে কয়েকবার উপুড় হয়ে পড়ে যায়। একপর্যায়ে হাঁটা থেকে দৌঁড়াতে শেখে। তেমনিভাবে, ইন্টারভিউতে কয়েকবার বিফল হলেও নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। মনে রাখবেন, মহাবিশ্ব আপনার পক্ষে কাজ করছে। সুন্দর সময়ে সেই কাঙ্খিত চাকরি পাবেন।

নিয়ন্ত্রণ করা ছেড়ে দিন

পৃথিবীতে সব কিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই কোনো কিছুর পরিণতি নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না। এই প্রক্রিয়াকে বিশ্বাস করুন। প্রকৃতিকে আপনার কাছে সুন্দর সময়ে সঠিক কাজটি আনতে অনুমতি দিন। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। চেষ্টা চালিয়া যাবেন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

যে চাকরিটি বর্তমানে করছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। শতভাগ পছন্দ না হলেও করুন। এটি জীবনে ইতিবাচক শক্তি জোগাবে। ভবিষ্যতে সুবর্ণ সুযোগ আনতে সাহায্য করবে।

পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারলে আপনার আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে কাজের সন্ধানে একটি ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করবে। মূল বিষয় হলো ধৈর্যশীল হওয়া, অবিচল থাকা এবং বিশ্বাস রাখা যে, সঠিক কাজটি আপনার কাছে অবশ্যই আসবে যখন সঠিক সময় হবে।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া