গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে জবি শিক্ষক সমিতির প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অংশগ্রহণ নিয়ে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব তোলা হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট ডিনদের নিয়ে ‘ইউনিট সমন্বয় কমিটি’ করে ভর্তি পরীক্ষার কাজ সম্পাদন করা। সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ইউনিট সমন্বয় কমিটির প্রধানদের নিয়ে ‘কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠন।

২০২২ সালের ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে দ্রুততার সঙ্গে ভর্তির ব্যবস্থা করা। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

প্রস্তাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর স্কোর ও মেধাস্থান প্রকাশের কথা বলা হয়। সেখানে বলা হয়—ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভর্তিচ্ছু বিভাগ নির্বাচন করবে এবং ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। সব আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

আরও বলা হয়েছে—পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের শুধু একটি পছন্দের অপশন রাখতে হবে এবং সে কেন্দ্রেই পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার আবেদন ফি ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য শুধু একবার অর্থ প্রদান করবে। মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য যেকোনো কারণে সার্ভিস চার্জ বাবদ সর্বাধিক একশ টাকার বেশি আদায় করতে যাবে না।

ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে একশ টাকা কেটে জমা করা বাকি অর্থ ফেরত বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। আবেদন ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিলে কোনো অর্থ প্রদান করা যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ে ঘাটতি দেখা দিলে ইউজিসিকে সে পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করতে হবে।

বিভিন্ন কোটায় আবেদনপত্র জমাসহ ভর্তি প্রক্রিয়ার যাবতীয় কাজ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডিন, চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য শিক্ষকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করতে হবে।

এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কাজে সব শিক্ষকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আগামী বছরে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের আওতায় আনতে হবে। তাদের আনা না গেলে আগামী বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব ব্যবস্থায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।