জাবির দুই হলে সংঘর্ষ, ৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সাত জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। খেলার মাঠে গায়ে ধাক্কা লাগার জেরে মারধরের ঘটনা ঘটে। সাময়িক বহিষ্কৃত সবাই জাবির হল ছাত্রলীগের কর্মী।

গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এনটিভি অনলাইনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন—উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির হোসেন সাগর ও তোফায়েল আহমেদ গালিব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কামরুল হোসেন চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের সৌরভ ও খালিদ হাসান ধ্রুব, মার্কেটিং বিভাগের খালিদ সাইফুল্লাহ এবং ইংরেজি বিভাগের শাহরিয়ার হিমেল। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কর্মী।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। এসময় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কর্মী খালিদ হোসেন মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মওলানা ভাসানী হল ছাত্রলীগের কর্মী সৌরভ কাপালীকে ধাক্কা দেয়। পরে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে খালিদকে মারধর করা হয়।

মারধরের সময় মওলানা ভাসানী হল ছাত্রলীগের কর্মী সজীব হাসান সাজসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ও মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান নেন মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। তাঁরা বটতলার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এরপর শুক্রবার সকালে বেগম সুফিয়া কামাল হলের সামনে সজীব হাসান সাজকে মারধর করে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা।  পরে গত শুক্রবার  নয় জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সাজ।

লিখিত অভিযোগপত্রে সাজ জানান, দুজন অতিথি নিয়ে মোটরসাইকেলে ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন তিনি। বেগম সুফিয়া কামাল হলের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্তরা সাজের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর শুরু করেন। তখন সাজের সঙ্গে থাকা দুই অতিথিকেও মারধর করা হয়।

লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার শৃঙ্খলা কমিটি অভিযুক্তদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।

জাবি প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘সাজকে সরাসরি যারা মারধর করেছে, এমন সাত জনকে  শৃঙ্খলা কমিটি সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’