ঢাকার বাইরেও যথাযথভাবে পরীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা খবর পেয়েছি, তারা কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়া যথাযথভাবেই পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।
শুক্রবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এ কথা বলেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সংবাদকর্মীদেরকে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। প্রশ্নপত্রের মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা খুব সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘ক-ইউনিটেই ভর্তি পরীক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। এখানে ১৮৫১টি আসনের বিপরীতে এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকায় প্রায় ৬৩ হাজার এবং বাদ বাকি ৫৩ হাজার ঢাকার বাইরে পরীক্ষা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একটি তুমুল প্রতিযোগিতা হবে।’
পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আসা আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা পরিবেশকে সুন্দর রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। তবে, একটি বিষয়ে পরিবর্তন আমাদের লাগবে। পরীক্ষার দিনগুলোতে যখন ক্যাম্পাসে অনেক জনসমাগম হয়, তখন যাতে গাড়ি, যানবাহনগুলো বেশি প্রবেশ না করে।’
উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধায় ঢাকাসহ মোট আটটি বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)।
এবার ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৭১০ জন। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল প্রায় ৬৩ জন শিক্ষার্থীর।