ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

রওনাকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল হবে। বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের  ‘প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া হামলায় জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে অবিলম্বে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘প্রক্টর স্যার আমাদের জানিয়েছিলেন—যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটি দেখা করতে আসে, আমি আশ্বাস দিচ্ছি ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে কিছুই করবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবে।’

রওনাকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুপুর থেকে খবর পাচ্ছিলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ইন্ধনে হামলা হতে পারে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কেও জানিয়েছি—দুপুর থেকে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এর মধ্যে ভিসি স্যার আমাদের অনুমতি দিলে আমরা ক্যাম্পাসে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে প্রবেশ করি। আমরা পূর্ব নির্ধারিত সময় নিয়েই সাক্ষাৎ করতে যাই। কিন্তু, মিডিয়ার সামনেই ছাত্রলীগ আমাদের নেতাকর্মীদের রড, দা, চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালায়।’

ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘আমরা ১৫ জন আহতের তালিকা  পেয়েছি। তাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অস্ত্র প্রশিক্ষণের জোন হয়ে গেছে দাবি করে এই নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দলবাজ প্রশাসন তাদেরকে সক্রিয় সহযোগিতা করছে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা, সেই হামলার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু, সন্ত্রাসীদের হুমকি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা আজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।’