ঢাবির আইন বিভাগে নাইট কোর্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সান্ধ্যকালীন নাইট কোর্স চালুর প্রতিবাদে রোববার বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সান্ধ্যকালীন নাইট কোর্স বা প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্স চালুর প্রতিবাদে এবং তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (২১ মে) দুপুর ১২টায় কাজী মোতাহার হোসেন ভবনস্থ আইন অনুষদের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তীতে অনুষদের সোনালুতলায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় তাদেরকে ‘আইন বিভাগে নাইট কোর্স বাতিল চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর আইন বিভাগে শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ কর’, ‘শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য চলবে না’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আইন বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কাজী রাকিব হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আমাদের সারাবছরে পর্যাপ্তসংখ্যক ক্লাস নিতে পারেন না, অথচ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে ঠিকই সময়মতো হাজির হন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রিপশন সময়মতো রিনিউ করা হয় না, তারা দায়িত্বে অবহেলা করেন। সেখানে প্রফেশনাল মাস্টার্স খুলে টাকা কামিয়ে তারা প্রচুর উন্নতি করে ফেলবেন, একথা আমরা বিশ্বাস করি না। এই পুরোপুরি বাণিজ্যিক উদ্যোগ আইন বিভাগে বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না।’

বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আইন বিভাগে নাইটকোর্স খোলার উদ্যোগ ২০১৭ সালেও নেওয়া হয়েছিল। সার্টিফিকেট ব্যবসার ফার্স্ট এপিসোড ছাত্ররা সফল হতে দেয়নি, এই এপিসোডও সফল হবে না।’

৪৩তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী জালাল উদ্দীন বলেন, ‘নাইটকোর্স করে কি উন্নতি হয় তা আমরা এফবিএস আর সোশ্যাল সায়েন্সে দেখেছি। এমন উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইন বিভাগে সান্ধ্যকালীন নাইট কোর্স বা প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ইতোমধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদমূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এছাড়া, বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আইন পেশায় নিয়োজিতরাও এই কোর্স চালুর প্রতিবাদ জানিয়েছে।