ঢাবির হল থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
সদ্য প্রয়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অমিত সরকার। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে ঘুমের মধ্যেই অমিত সরকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি যশোরে। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল সোমবার দিনগত রাতে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজ কক্ষে ঘুমান অমিত। অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার পরও ঘুম থেকে না উঠলে এবং অনেক ডাকাডাকির পরও সকালে সাড়া না পাওয়া গেলে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সহপাঠীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অমিত ঘুমিয়েছিল। রুমমেটদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এখন তো শিক্ষার্থীরা একটু দেরি করেই ঘুমায়, আবার দেরি করেই ওঠে। এজন্য কেউ ওকে ডাক দেয়নি। কিন্তু সকাল ১১টার পরেও যখন সে জাগ্রত হয়নি, তখন তার বন্ধুরা তাঁকে ডাক দেয়, ডাকে সাড়া না পেয়ে একটু ধাক্কাও দেয়। কিন্তু তারপরও কোনো সাড়া না পাওয়াতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকেরা তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও ইসিজি রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা বলছেন, অমিত হয়তো ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এর বেশি কিছু প্রাথমিকভাবে তারা বলতে পারেননি।’

অধ্যাপক মিহির লাল সাহা আরও বলেন, ‘চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা লাশ হলে আনা হয় এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে অমিতের এক বোনের স্বামী এখানে আসেন এবং যশোর থেকে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকার পথে আছেন বলে জানা যায়। অমিতের পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু এরকম মৃত্যুর পর নিয়ম হলো নিকটবর্তী থানা বা প্রশাসনের মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। এজন্য সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।’

মিহির লাল সাহা ভারাক্রান্ত স্বরে বলেন, ‘অমিতকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে খুব মেধাবী ছাত্র ছিল এবং খেলাধুলায় খুব ভাল ছিল। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে আমি এবং পুরো জগন্নাথ হল পরিবার শোকাহত। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’