দৃষ্টিহীনতা যাঁদের স্বপ্ন জয়ের লক্ষ্যে বাধা হতে পারেনি

Looks like you've blocked notifications!
‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিন জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। ছবি : এনটিভি অনলাইন

স্বপ্ন জয়ের লক্ষ্যে দৃষ্টি তাঁদের পথে বাধা হতে পারেনি। আজ শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিন জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন—তারিফ মেহমুদ চৌধুরী, তৃণা আক্তার সেতু ও আকাশ দাস।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন পরীক্ষার্থীর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের জন্য তিন জন সহযোগীও দেওয়া হয়েছে।

তারিফ মেহমুদ চৌধুরী ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছেন রাজবাড়ী থেকে মায়ের সঙ্গে। তারিফ নটরডেম কলেজ থেকে ৪.৯২ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। জন্ম থেকেই তারিফ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

তারিফ মেহমুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং এসেছিল, কিন্তু আমার প্রিয় বিষয় ইংরেজি। তাই, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। পরীক্ষায় সাহায্য করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেই একজন শ্রুতিলেখক দেওয়া হয়েছে।’

আরেক পরীক্ষার্থী তৃণা আক্তার সেতু এসেছেন গোপালগঞ্জ থেকে। সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই। ম্যাগনিফাইং গ্লাস ছাড়া তিনি লেখা পড়তেই পারেন না। তৃণা মোকসেদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দ্বিতীয় বারের মতো তৃণা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

তৃণা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ম্যাগনিফাইং গ্লাস সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সহযোগী হিসেবে একজনকে দেওয়া হয়েছে।’

আরেক শিক্ষার্থী আকাশ দাস। এসেছেন নরসিংদী থেকে। তিনি মিরপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মানবিক বিভাগ থেকে।

আকাশ দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও এটাকে প্রতিবন্ধকতা মনে করি না বলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের উপপরিচালক মিতা শবনম বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে—তিন জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মেডিকেলে পরীক্ষা দিবেন। আমরা সে অনুযায়ী তাদের জন্য ব্যবস্থা করেছি।’