‘দেশে উন্নয়নের চাপে ডিমের দাম ১৪ টাকা পিস হয়েছে’

Looks like you've blocked notifications!
জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদও জানান তারা।

কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধি না করে করোনার আগে তেল খাত থেকে যে মুনাফা হয়েছে, সেটা দিয়ে আরও ৬ মাস চালানো যেত। পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে, তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার ১৫৭ কোটি টাকা আয় করেছে। এটা যদি গণতান্ত্রিক সরকার হতো, তাহলে জনগণকে বিপদে ফেলে তেলের দাম বৃদ্ধি করা হতো না। সরকারের কাছে দাবি- অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম কমানো হোক।’

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একটা জাতির ধ্বংস অনিবার্য যখন সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। প্রাইমারি স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত সকল টেক্সট বুকগুলোকে একটি বিশেষ শ্রেণির পক্ষে প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গাগুলোতে একটা বিশেষ শ্রেণিকে বসানো হয়েছে। এভাবেই জাতির শিক্ষাকে ধ্বংস করা হচ্ছে।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কুদরত-ই জাহান বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের চাপে ডিমের দাম ১৪ টাকা পিচ হয়েছে। অকটেন ১৩৫ টাকা হয়েছে। সকল পণ্য নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অথচ মন্ত্রীরা খোঁজে কে কাপড় পরে আছে আর কে কাপড় পরে নাই।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে দেশ চালাচ্ছেন। আপনি নিজেই বলেছেন ১৫ আগস্ট আপনার পরিবারের পাশে কাউকেই পাননি। নিজেই অনুধাবন করুন কাদেরকে পাশে নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। আমরা শ্রীলঙ্কা হতে চাই না। দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন।’

কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান খান মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক আবুল হাসান মুকুল, অধ্যাপক হাছানাত আলী, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।