দেড় বছর পর ঢাবি গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা, সময়সীমা নিয়ে অসন্তুষ্টি
করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার খোলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। আজ সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান লাইব্রেরিসহ বিভাগীয় সেমিনারগুলো খুলে দেওয়া হয়।
শর্ত অনুযায়ী, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থাগার ও সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়৷
দেড় বছর পর ঢাবির গ্রন্থাগার খুলে দেওয়ায় আজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় কর্তৃপক্ষ। অন্তত এক ডোজ করোনার টিকা গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে টিকা কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আজ সকালে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।
আজ থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) ঢাবির গ্রন্থাগার এবং বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো খোলা থাকবে। তবে এ পর্যায়ে সেখানে শুধু স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার সুযোগ পেলেও ধাপে ধাপে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও পড়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, দীর্ঘ সময় পর গ্রন্থাগার খুলে দেওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, গ্রন্থাগারে অবস্থান করার সময়সীমা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। এ ছাড়া সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। এ সময় লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রন্থাগার খুলে দেওয়ায় আমরা খুশি এবং আমাদের ভালো লাগছে। এতদিন বাসায় পড়তে অসুবিধা হয়েছিল। এখন সেই সমস্যাটা সমাধান হয়ে গেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, আগের সময় অনুযায়ী গ্রন্থাগারে থাকার সময়টা যেন ঠিক করা হয়। আমরা চাই, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকুক। এতে করে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করতে পারব।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে নিয়ম ভেঙে শিক্ষার্থীরা ১০টার আগেই ভেতরে প্রবেশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রক্টরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির সময়সীমা আগের মতো করার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান প্রক্টর। এ ছাড়া লাইব্রেরির বাইরে থাকা টেবিল-চেয়ার দ্রুত না সরানোর আবেদনও জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ যেটা দেখেছি, তা ইতিবাচক। আমরা তাঁদের বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তে যাব।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর (আজ রোববার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।