নাট্যকার সেলিম আল দীনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Looks like you've blocked notifications!

রবীন্দ্রত্তোরকালের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এ দিনে বাংলা নাটকের মহাপুরুষ মৃত্যুবরণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। কর্মসূচির প্রথম দিন আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে একটি স্মরণযাত্রা বের করা হয়। বিকেল তিনটায়  জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ‘শেষ নাহি যে’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং  সন্ধ্যায় সেলিম আল দীনের নাটক “স্বর্ণবোয়াল” মঞ্চস্থ করা হবে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে “মাদার কারেজ এন্ড হার চিল্ডরেন” এবং আয়োজনের সমাপনী দিনে  মঞ্চস্থ হবে নাটক “নিমজ্জন”।

১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট তিনি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বাংলায় বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯৫ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান করেন। খ্যাতিমান অধ্যাপক ও নাট্যকার পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন গবেষক, সংগঠক, নাট্যনির্দেশক এবং শিল্পতাত্ত্বিক। মুক্তিযুদ্ধ-উত্তরকালে ‘ঢাকা থিয়েটার’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

১৯৮১-৮২ সালে তিনি এবং নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার গড়ে তোলেন এবং দেশব্যাপী কাজ করতে থাকেন। তার অনুবাদ ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় নন্দিকেশ্বরের অভিনয় দর্পণ (১৯৮২)। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার গবেষণা গ্রন্থ ‘মধ্যযুগের বাংলা নাট্য’। তার কাব্যগ্রন্থ : কবি ও তিমি (১৯৯০), উপন্যাস : অমৃত উপাখ্যান (২০০৫)।

সেলিম আল দীনের উল্লেখযোগ্য নাটক ও নাট্যগ্রন্থসর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য নাটক (১৯৭৩), জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন (১৯৭৫), বাসন (১৯৮৫)। তিনটি মঞ্চ নাটক : মুনতাসির, শকুন্তলা ও কিত্তনখোলা (১৯৮৬), কেরামতমঙ্গল (১৯৮৮), প্রাচ্য (১৯৯৮), হাতহদাই (১৯৯৭), যৈবতী কন্যার মন (১৯৯৩), চাকা (১৯৯১), হরগজ (১৯৯২), একটি মারমা রূপকথা (১৯৯৫), বনপাংশুল (১৯৯৬), নিমজ্জন (২০০২), ধাবমান, স্বর্ণবোয়াল (২০০৭), ঊষা উৎসব ও স্বপ্নরমণীগণ (নৃত্যনাট্য, ২০০৭), পুত্র (২০০৮) ইত্যাদি।

তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নান্দিকার পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।