নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন

Looks like you've blocked notifications!
জাঁকজমকভাবে পালন করা হচ্ছে ১০২তম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’। ছবি : এনটিভি অনলাইন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাঁকজমকভাবে পালন করা হচ্ছে ১০২তম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’। ‘গবেষণা ও উদ্‌ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের দিবসকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্‌বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই সদস্যেরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা ওড়ানো ও কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্‌বোধন করা হয় এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া আজ সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্‌ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। 

উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে বিশেষ করে নবাব নওয়াব আলি চৌধুরী, স্যার সলিমুল্লাহ এবং আবুল কাসেম ফজলুল হকসহ যেসব ব্যক্তি ১৯১১ সাল থেকে শুরু করে ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত অনবদ্য অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘এবারের যে প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা মূলত গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্বিতীয় শতকে পদার্পণ করে কোন দিকে দিক-নির্দেশনা লাভ করবে ও যাবে। এবারের প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা দ্বিতীয় শতকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশেষ করে পরবর্তী এক শতকে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্মাণের প্রাথমিক যে ধাপ রয়েছে, সে ধাপ সূচনা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করি।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী জাতির উন্নয়নের সহায়ক—এমন উদ্‌ভাবন ও গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালনা করা হবে এবং এর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে খ্যাতিমান এ বিশ্ববিদ্যালয় যে অবদান রেখে আসছে, সে ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে।’