পয়লা বৈশাখে বিকেল ৫টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢোকা যাবে না
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আজ রোববার এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সড়কদ্বীপ থেকে বের করা হবে। শোভাযাত্রা স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের তৈরি করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ভুভুজেলা বাজানো ও তা বিক্রি থেকে বিরত থাকতেও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যান চলবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার জন্য চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাট ফটক, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক ব্যবহার করা যাবে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক, রমনা কালীমন্দিরসংলগ্ন ফটক ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ব্যবহার করতে হবে।