বুয়েট অভিমুখে ছাত্রলীগের লংমার্চ স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েট ক্যাম্পাসে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

আবরার হত্যার পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের মধ্যেই গতকাল শনিবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

তার প্রতিবাদে আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনার পর্যন্ত লংমার্চের ডাক দেন এক ছাত্রলীগনেতা। কিন্তু দুপুর হতে না হতেই আগের ঘোষণা বাতিল করেন সেই ছাত্রলীগনেতা আমির হামজা। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপছাত্র বৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক।

দুপুরের আগে ছাত্রলীগ নেতা আমির হামজা তার ফেসবুক আইডিতে লংমার্চের ঘোষণা দিয়ে লেখেন, ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের কমিটি চাই। দুপুর আড়াইটায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বুয়েট শহীদ মিনার পর্যন্ত লং মার্চ। গতকালের ঘটনায় পিতা মুজিবের জন্য কারও মনে যদি এক বিন্দু রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে, অবশ্যই চলে আসবেন। এখনই মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার উত্তম সময়। বুয়েটেই অবস্থান করব, বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষার্থে যদি আমি শিবিরের আহারে পরিণত হই, তো হবো।’

দুপুর পরেই হামজা তাঁর আইডিতেই আরেক পোস্টে কর্মসূচি বাতিল করে লেখেন, ‘খুব শীঘ্রই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ওপর মহল থেকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসবে। সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে বরাবরের মতই প্রাধান্য দিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বর্জন করলাম। আজ হোক বা কাল, বুয়েট থেকে শিবিরের বিষদাঁত তুলবোই তুলব। আজকের লং মার্চ স্থগিত করা হলো, যারা পাশে ছিলেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাই বুয়েটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলনের পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।