মজার ছলে পাঠদান, শিশুদের মেধা-মনন বিকাশে ‘মজারু’
শিক্ষক সেখানে দেখা দেন মজার বেশে। কখনও যাত্রাপালার চরিত্র হয়ে, কখনও আলিফ লাইলার দৈত্য হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির হন তিনি। তবে ভয়ঙ্কর নয়, মজার চরিত্র হয়ে ধরা দেন তিনি। হয়ে ওঠেন মজার শিক্ষাগুরু। আর এই মজায় মজায় শিক্ষাদান করা গুরুর অনলাইন প্লাটফর্মটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মজারু’, যা মজার ছলে শিশুদের মেধা-মনন বিকাশে ভূমিকা রাখছে।
করোনাকালীন সময়ে শিশুদের অভিভাবকদের কাছে এক চিন্তার নাম ছিল প্রযুক্তি। ঘরের চার দেয়ালে বন্দি থাকা শিশুরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকছিল মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রতি। এমনি সময় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আসে শিক্ষা প্ল্যাটর্ফম—মজারু। এখন লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছে এই মজারু।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মজারুর যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা শহর সাতক্ষীরায়। করোনা মহামারির সময় যখন সব স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখে। তখনই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্সের মাথায় আসে, এভাবে তো স্কুলের গণ্ডি পেড়িয়ে সারা দেশের শিশুদের মধ্যেও মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এভাবেই যাত্রা শুরু করে মজারু।
মজারুর মূল লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই সময়ে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিকে সামনে রেখে মজারু তাদের সব কোর্স ডিজাইন করে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলসহ দেশের সেরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। ভারত থেকেও এক ঝাঁক শিক্ষক মজারুতে শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কোর্সগুলোতে ক্লাস নিচ্ছেন।