মধ্যরাতে উত্তপ্ত ইডেন কলেজ

Looks like you've blocked notifications!
শনিবার দিনগত রাতে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হলে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার তোপের মুখে পড়েছেন সংগঠনটির কলেজ ছাত্রলীগ সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। যা চলতে থাকে দীর্ঘ সময়। 

সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সঙ্গে সহ-সভাপতিসহ আরেকটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘সিট বাণিজ্য নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্যাতনের শিকার হয়েছি।’

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ছিলাম। আমার পিত্তথলিতে সমস্যা থাকায় চিকিৎসক অপারেশন করার জন্য বলেছে। আগামী ১৮ অক্টোবর অপারেশন করা হবে। এখনো বেশ কিছুদিন দেরি থাকায় আমি হাসপাতালে না থেকে হলে আসি। এই কয়েকদিন হলের বাইরে থাকা অবস্থায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার রুমে ঝামেলা করেন। তারা আমার রুমমেটদের হল থেকে বের করার হুমকি দিয়েছেন। পরে আমি আজ কলেজ ক্যাম্পাসে এলে তারা আমাকে মারধর করেন। আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

জান্নাতুল অভিযোগ করেন, তাঁকে কক্ষে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। তাঁর আপত্তিকর ছবিও তুলে রেখেছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও তাঁদের সমর্থকেরা। 

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে জান্নাতুল আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের নির্যাতন ক্যাম্পাসের নিত্যদিনের ঘটনা বলে অভিযোগ করেন আরেক সহ-সভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বারবার জানানোর পরও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একচ্ছত্রভাবে ক্যাম্পাসে অন্যায়-অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে কলেজ প্রশাসনও নীরব।’

তবে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমে জানান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের হল সুপার নাজমুন নাহার।  তিনি বলেন, ‘এখনই কোনো ব্যবস্থার কথা আমরা বলতে পারব না। সকালে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’