শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে গেলে লাগবে টিকার সনদ

Looks like you've blocked notifications!
অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গেলে লাগবে টিকার সনদ। এ সময় মাস্ক পরতে হবে।

আজ রোববার অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে এক পূর্ব প্রস্তুতি সভায় এমন সিদ্ধন্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সভার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। 

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধি, অফিস প্রধান এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।