শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশন

Looks like you've blocked notifications!
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশনে বসেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে প্রতীকী অনশন শুরু করেছে ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনশন কর্মসূচি চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

অনশনে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে তাঁদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা প্রতীকী অনশনে বসেছি। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অমানবিক ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। আমাদের আজকের এই অনশন কর্মসূচি বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে এবং যতদিন পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগ না করবেন ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলবে।’

সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির নির্দেশে বর্তমান সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় যেসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাঁদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা অনশন শুরু করেছি।’

শ্যামল বলেন, ‘ভিসি মানে শিক্ষক এবং শিক্ষক মানে অবিভাবক, কিন্তু শাবিপ্রবির ভিসি তার অভিভাবকসুলভ আচরণ না করে যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।’ তাঁর বিচার ও অপসারণের দাবি জানান তিনি।

ছাত্রদল ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাদের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলা করা হয়েছে, এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রতীকী অনশনে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও অন্যান্য ইউনিটের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।