শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলায় ভিসির দুঃখপ্রকাশ

Looks like you've blocked notifications!
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আজ বুধবার দুঃখ প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। ছবি : এনটিভি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। চলমান ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এতে দোষী হলে সরকারের নির্দেশ মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য (ভিসি)।

‘উপাচার্য কোন রকম সংশ্লিষ্ট নয়’ দাবি করে আজ বুধবার অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁদের জন্য আমাদের ভালোবাসার জায়গায় আছে।’

উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, খুবই মর্মাহত।’

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, ‌‘গত ১৪ তারিখ থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিন আমাদের ডিনরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। ট্রেজারারসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক প্রতিনিধিরাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই শিক্ষার্থীরা তাঁদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবুও সব সহ্য করেন শিক্ষকরা।’

‌‘আন্দোলনকারীরা কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থী। তাঁদের জন্য আমরা এখানে আছি। সব সময় আমরা তাঁদের মঙ্গল কামনা করি’ উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘গতকালও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কোন প্রকার কথা বলতে রাজি হয়নি।’

শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। এখন তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন।’

‌উপাচার্য বলেন, ‘উপাচার্যের যদি কোন অপরাধ হয়ে থাকে, তবে তা তদন্ত সাপেক্ষ। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। প্রয়োজনে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও তদন্ত কমিটি হতে পারে। উপাচার্যের যদি কোন অপরাধ বা দোষ থাকে, তাহলে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে তা উপাচার্য মেনে নেবে। এটা রাগঢাকের কোন ব্যাপার না।’

গত রোববার রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে শুরু হয় ছাত্রীদের আন্দোলন। পরে যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। এক পর্যায়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধারে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। মামলা দেওয়া হয় তিনশ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে সেই আন্দোলনে আজ গড়িয়েছে উপাচার্যের অপসারণে আমরণ অনশন পর্যন্ত।