শাবি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। ফাইল ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) করোনাকালীন টিউশন ফি ও পরিবহন ফি মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে করোনার সময়ে ৪০০ টাকা টিউশন ফি এবং ৫৩০ টাকা পরিবহণ ফি মওকুফের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সিন্ডিকেট সভা, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের ক্রেডিট ফি ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো টাকা পরিশোধ করে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারবে। অন্যদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের এখন হলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং হলের ছাড়পত্র ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে তারা।

উপাচার্য আরো বলেন, আমরা ইচ্ছে করলেই ইউজিসির অনুমতি ছাড়া আবাসিক হল খুলতে পারব না। কিন্তু ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও থাকার ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান এবং বিভাগের শিক্ষকদের ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি।

এর আগে সরকারি নির্দেশনা মেনে হল খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি মওকুফ করা, অন্যথায় ফি ব্যতীত পরীক্ষা গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে বকেয়া ফি সমূহ প্রদানের সুযোগ দেওয়া, মেয়েদের আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া, গরিব ও অস্বচ্ছল মেধাবী পরীক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মোতাবেক যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়া।

আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে রিভিউ ক্লাস নিশ্চিত করা ও যাবতীয় ফি ৭০ শতাংশ মওকুফসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।