শিক্ষকদের আন্দোলনে উত্তাল মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ক্লাস ব্যাহত

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। ছবি : এনটিভি

নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ‌‌ ঘিরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে। দাবি আদায়ে ক্লাস ফেলে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের দাবি—আদালতের রায়ে এতদিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জাকির হোসেন, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষক আখলাক হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এই শিক্ষকরা বলছেন, উচ্চ আদালত এবং মাউশির নির্দেশে দায়িত্ব পাওয়া মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে বহাল করা না হলে তাদের কর্মবিরতি পালন করে যাবেন।

আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষকরা জানান, বর্তমান অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো. জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কমিটির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এমন অবস্থার মধ্যে কমিটির সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে জাকির হোসেনকে অব্যাহতি ও আখলাক আহম্মদ নামে আরেক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর আজ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যান এবং আখলাক আহমেদকে সরিয়ে জাকির হোসেনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে বহাল রাখার দাবি জানান।

আজ দুপুরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের বালিকা শাখায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা অ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা চান মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকুক। যদিও মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে বালিকা শাখায় উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, ‘তিল তিল করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো জামায়াত-শিবিরের লোক থাকবে না, স্বাধীনতাবিরোধী লোক থাকবে না।’ এসময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে সরিয়ে আখলাক আহমদকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আখলাক আহম্মদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার একদিনের মাথায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করেন।

প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আখলাক আহম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি চাই এই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকুক। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলন এবং শিক্ষার স্বার্থে আমি ইস্তফা দিয়েছিলাম। তবে, মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবং শিক্ষকদের একাংশের দাবির মুখে আমি দায়িত্ব থেকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছি। শিক্ষকরা চাইলে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করব।’