স্বপ্ন যাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

Looks like you've blocked notifications!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কোটবাড়ী সালমানপুর এলাকায় অবস্থিত। গত বছরের ন্যায় এ বছর ও বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির অধীনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিলেও বর্তমানে ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির অধীনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গুচ্ছপদ্ধতিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ ২০ নম্বর ধরা হয়। এক্ষেত্রে আলাদাভাবে এসএসসি জিপিএ ১০ ও এইচএসসির জিপিএ ১০ নম্বর হিসাব করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেক্ষেত্রে যাদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ বেশি থাকবে তারাই মেধাক্রমে এগিয়ে থাকবে।

ইউনিট পরিচিতি

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এ, বি ও সি ইউনিটে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য এ ইউনিট, মানবিক এ বিভাগ পরিবর্তনের জন্য বি ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য সি ইউনিট। এ ইউনিটের অধীনে রয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, বি ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিক ,সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ এবং সি ইউনিটের অধীনে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।

কোন ইউনিটে কত আসন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিটে মোট আসন আছে ১০৪০ টি। এ ইউনিটে কোটাসহ আসন সংখ্যা ৩৫০ টি, বি ইউনিটে ৪৫০টি যার মধ্যে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য যথাক্রমে ১৪১টি ও ৫২টি আসন , সি ইউনিটে ২৪০টি যার মধ্যে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য যথাক্রমে ২৪টি ও ১৬টি আসন রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন যোগ্যতা

গুচ্ছ ২০২০ ও ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮.০০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.৫০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.০০ থাকতে হবে। প্রতিটি শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।

তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ (চতুর্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৬.৫০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম ৬.০০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম ৬.০০ থাকতে হবে।

সকল ইউনিটের আবদেনকারীকে এসএসসি ও এইচএসসির উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ (চতুর্থ) বিষয়সহ মোট ৩.০০ থাকতে হবে

পরীক্ষার ধরন ও ইউনিটভিত্তিক মানবণ্টন

এবার গুচ্ছ’ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সকল ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় শুধু এমসিকিউ(সঠিক উত্তর) থাকবে। কোনো লিখিত প্রশ্ন থাকবে না।

বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০, রসায়নে ২০, জীববিজ্ঞান, গণিত এবং আইসিটি মিলে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। জীববিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিতের মধ্যে যে কোনও দুটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। আর বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানে ২৫ নম্বর, বিজনেস অর্গানাইজেশন ও ম্যানেজমেন্টে ২৫, আইসিটিতে ২৫, বাংলায় ১৩ এবং ইংরেজি বিষয়ে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

মানবিক বিভাগে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য .২৫ করে নম্বর কাটা যাবে। তাই অবশ্যই সতর্কতার সাথে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।

সহায়ক বইসমূহ

পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পাঠ্য বইয়ের বেসিক অংশগুলো ভাল করে পড়তে হবে। সেই সঙ্গে জয়কলি, পানকৌড়ি অথবা যেকোনো একটি প্রশ্ন ব্যাংক ভাল করে পড়তে হবে।

পরীক্ষার সময়

প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর ১২.০০ টায় শুরু হয়ে ১.০০ টায় শেষ হবে।

এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন ২০২২ তারিখে।

বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুন ২০২২ তারিখে।

সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুলাই ২০২২ তারিখে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি ইউনিটে আবেদন করতে ৫৫০ টাকা করে ফি প্রদান করতে হবে।

যেহেতু গুচ্ছের অধীনে পরীক্ষা হবে তাই চান্স পেতে কত নম্বর পেতে হবে তা সঠিকভাবে বলা যায় না। এটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেমন হয় সেটির উপর নির্ভর করবে। তবে পূর্বের পরীক্ষা থেকে ধারণা করা যায় যে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ এবং এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ ২০ নম্বর থাকলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যাদের জিপিএ কম থাকবে তাদেরকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে হবে।

বিস্তারিত আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.cou.ac.bd