চাকরিতে উন্নতির উপায়

পরীক্ষার ফলাফল ভালো হলেই ভালো চাকরি হবে, বা চাকরি হওয়ার পর তরতর করে ওপরে উঠে যাবেন, এ ধারণা সব সময় ঠিক নয়। মাঝারি মানের ফলাফল নিয়েও কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনি যে কোনো বড় প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। পপসুগার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট লিসা সুগার তাঁর ‘পাওয়ার ইওর হ্যাপি’ বইতে চাকরি পাওয়া ও চাকরির ক্ষেত্রে সফল হওয়ার কৌশল সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক পপসুগার ডট কমে প্রকাশিত কথাগুলো কী।
১. নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন করুন
যদি আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে নিজেই একটি পরীক্ষা নিন। যেমন : মেয়ার-ব্রিগস বা ডিআইএসসির মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা করতে পারেন। যা সহজেই আপনার চিন্তা ও আগ্রহের জায়গাটি পরিষ্কার করে তুলবে। এ ছাড়া ভাবনার জগৎকে প্রসারিত করার পাশাপাশি কাজের দক্ষতা এবং আপনাকে সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করবে।
২. আগের চাকরি ছাড়ার কারণ চিহ্নিত করুন
অতীতের চাকরির অভিজ্ঞতা খারাপ হতে পারে। কিন্তু তা ভেবে হতাশ না হয়ে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করুন। সেই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিলে পরবর্তী চাকরি জীবনে অবশ্যই ভালো করবেন।
৩. কর্মস্থলে সব রকম কাজ শিখুন
একবার কোথাও কাজে যোগ দিলে সেখানকার বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে ধারণা নিন। যা পরে আরো ভালো ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে। ভালো চাকরি পাওয়ার গোপন কোনো রহস্য নেই। আপনাকে প্রতিটি বিষয় আয়ত্তে এনে কাজ করতে হবে।
৪. নেটওয়ার্ক তৈরি
কোনো প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কাজ করে এমন কারো সঙ্গে পরিচয় থাকা অনেক বড় সম্পদ আপনার জন্য। কেননা প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন, নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। তবে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সহজ বিষয় নয়। নতুন সহকর্মী কিংবা নিত্যনতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। তাঁদের কথা মন দিয়ে শুনুন। বন্ধুত্বসুলভ আচরণ দেখান। তাহলে এক সময় ভালো নেটওয়ার্কিং গড়ে উঠবে।
৫. যোগাযোগে দক্ষতা বাড়ান
নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হতে সংকোচ কিংবা ভয় পাবেন না। নেটওয়ার্ক তৈরি করার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এটি। সে ক্ষেত্রে লিসা দিয়েছেন কিছু উপদেশ :
- বন্ধুত্বপূর্ণ হোন তবে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন।
- ই-মেইল পাঠানোর আগে ভুলত্রুটিগুলো দেখে নিন।
- ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা না বলে সোজাসাপ্টা কথা বলুন।
- সহজে যে উত্তর গুগলে অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, সেগুলা জিজ্ঞেস না করা।
- কর্মস্থলের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন।
- ই-মেইলে সৃজনশীল বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলুন।
৬. সাক্ষাৎকারের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি
অবশ্যই সাক্ষাৎকারের আগে, যে পদের জন্য আপনি আবেদন করেছেন, তা সম্পর্কে, পদের জন্য যেসব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে, সেসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে তারপর সাক্ষাৎকারে যাবেন। সে কারণে পর্যাপ্ত পড়াশোনা করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে।