শিক্ষার্থী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীদের বিচার দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) এক শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বাসভবনে গিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দোষী ছাত্রদের বিচার দাবিতে গতকাল রোববার রাতে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সারজিল ইমতিয়াজ (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৪৪তম ব্যাচ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শিকদার মো. জুলকারনাইন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘গতকাল রাতে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তা প্রক্টরকে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে এটা ডিসিপ্লিনারি বোর্ডে পাঠানো হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ধূমপানের অহেতুক অভিযোগ তুলে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলের ২২৩ নম্বর কক্ষে সারজিলকে বেধড়ক পেটানো হয়। প্রথমে পাইপ এবং পরবর্তী সময়ে বাঁশ দিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত করা হয়। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশসহ ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্মারকলিপিতে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁরা হলেন কৌশিক বসাক (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ), বিকাশ কুমার মোহন্ত (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) এবং মাকসুদুর রহমান অনার (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ)। তাঁরা সবাই ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে এতে দাবি করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, পাশবিক অত্যাচারের শিকার শুধু সাজু একাই না। তার আগেও প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্র বিনা কারণে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বিকাশ কুমার মোহন্তের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শহীদ সালাম বরকত হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘নির্যাতনের বিষয়টি শুনে এ দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসেছি। দোষীদের শাস্তিও দিয়েছি। এরপরও যদি ৪৪তম ব্যাচ সন্তুষ্ট না হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে, তাহলে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাকি ব্যাপারটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে।’

জাবি সংবাদদাতা