বাংলাদেশের পাশে ভারত চিরদিন থাকবে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান।
অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল, আজও আছে, চিরদিন থাকবে। কারণ দেশ দুটি হলেও আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও হৃদয় এক। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আমরাও গর্বিত। এ দেশের অগ্রযাত্রায় হাতে হাত মিলিয়ে আমরা পাশে থাকতে চাই।’
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, সুনাগরিক গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রয়োজন আছে। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করে এর কার্যক্রম শুরুর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তারই সফল বাস্তবায়ন এই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু। এর মাধ্যমে প্রায় তিন দশক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়েছিলেন, তা পূরণ হলো।
উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসংলগ্ন এলাকাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান।
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক টি এম এম নুরুল মোদাসসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সমকাল নাট্যচক্রের সাবেক সভাপতি সাজু সরদারও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দারের স্ত্রী চম্পা সমাদ্দারসহ পরিবারের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত শতাব্দীর আশির দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিকর্মীরা ক্যাম্পাসে টিএসসিসির দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ ১৯৮৪ সালে ৯৮২ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট টিএসসিসির ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেয়। ভবনটি তৈরির একপর্যায়ে ২০০৬ সালে ধসে পড়ে।
এরপর ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নতুন নকশায় এটি নির্মাণ সম্পন্ন করে। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ভবনটি উদ্বোধন করেন।