নরওয়ে দূতাবাস ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় ঢাবিতে চলচ্চিত্র উৎসব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের (ডিইউএফএস) আয়োজনে ও নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের (আইআইইউএসএফএফ) ১৫তম আসর। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে আরও রয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
এই উৎসবের উদ্বোধনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান যথাক্রমে ৬ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
নির্বাচিত সেরা ২০০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে দেশের ৭টি বিভাগের (সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা) ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এছাড়াও বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের স্টার সিনেপ্লেক্সে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব (আইআইইউএসএফএফ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের নিয়মিত আয়োজনগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদান ও তাদের প্রতিভা প্রদর্শনে একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক মঞ্চ প্রদানের উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর আইআইইউএসএফএফ আয়োজন করে এসেছে।
এবছর, উৎসবের ১৫তম আসরের চলচ্চিত্র জমাদান পর্ব শুরু হয় আগস্টের মাঝামাঝি। প্রতিযোগিতার চারটি (কম্পিটিশন, ওয়ান মিনিট শর্ট, প্যানারোমা এবং ওয়ান আর্থ শর্টফিল্ম) ক্যাটাগরিতে মোট ১৬৭১টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। যেখানে অংশগ্রহণ করেছে বিশ্বের ৯৬টি দেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা। উল্লেখ্য, উৎসবটির ১৪তম আসরে ৯১টি দেশ হতে ১১৪১টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি তীর্থ প্রতিম দাস বলেন, আইআইইউএসএফএফ-এর ১৫তম সংস্করণ বাংলাদেশে রয়্যাল নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় আয়োজিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হল সিনেমার সাহায্যে জলবায়ু সচেতনতা সৃষ্টি করা। তিনি আরও বলেন, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই উৎসবের মাধ্যমে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের শৈল্পিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য আমরা কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, আইআইইউএসএফএফ এর মাধ্যমে প্রতিবছর দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকে। পূর্ববর্তী আসরগুলোকে টেপাপুতুল, নকশীকাঁথা ও পুতুলনাচের মতো বাংলার শতবর্ষী ঐতিহ্যগুলোর মোড়কে সাজানো হয়েছিল। এবারের আসরের আলঙ্করিক থিম হিসেবে রয়েছে— বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা ‘শীতল পাটি’। এছাড়াও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এবারের আসরে নতুন একটি বিভাগ (ওয়ান আর্থ শর্টফিল্ম) যুক্ত করা হয়েছে।