ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় চাকরি হারালেন চবি শিক্ষক ড. মতিন

Looks like you've blocked notifications!
ড. মাহাবুবুল মতিন। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল মতিনকে অপসারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় অভিযোগ ওঠা শিক্ষককে (ড. মতিন) অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। এর আগে তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল।’

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সেলে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের এক ছাত্রী। অভিযোগে থিসিস চলাকালে ওই ছাত্রী সুপারভাইজার ড. মতিনের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেন এবং ন্যায়বিচার দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় ড. মাহাবুবুল মতিনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে তাকে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রসায়ন বিভাগের একাডেমিক কমিটির সুপারিশের আলোকে রসায়ন বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগ ওঠার পর থেকে ড. মতিনের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। রসায়ন বিভাগের  শিক্ষার্থী সালমা বেগম বলেন, ‘সহপাঠীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। ভবিষ্যৎ এ ধরনের কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।’