ভুলেভরা রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ছবি : এনটিভি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চারটি ভুল প্রশ্ন ধরা পড়েছে। যার মান ৫ নম্বর। আজ বুধবার (৬ মার্চ) ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় তিন নম্বর সেটে এসব ভুল দেখা যায়। ফলে পাঁচ নম্বর নিয়ে শঙ্কিত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

এদিকে প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়টি ‘চরম দায়িত্বহীনতার শামিল’ বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা।

তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। তাই এই বিষয়ে সিনিয়র ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত, যাতে এমন ভুল না হয়। কিন্তু সেটি হয়ে গেছে। যেখানে এক নম্বরের জন্য শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেখানে ৫ নম্বরের প্রশ্নের ভুল কোনোভাবেই মেনে যাওয়া যায় না। এই ভুলের দায় ভর্তি কমিটি এড়িয়ে যেতে পারে না।

প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটের তিন নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রে চারটি প্রশ্নে ভুল । প্রশ্নপত্রের ৩ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নে মাত্র চারটি অপশনের জায়গায় দুটি অপশন এবং ১৪ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নে পাঁচটি করে অপশন দেখা গেছে।

প্রশ্নপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমন ভুল মোটেও কাম্য নয়। কারণ এই প্রক্রিয়াটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আর যেসব প্রশ্ন আসলে ভুল হয়েছে সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে? মূলত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়গুলো এমন ব্যক্তিদের দেওয়া উচিত, যারা এ বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির প্রধান ব্যাপার হলো ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের মান। সেখানে এবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আর এসব ভুল প্রশ্ন কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে সেটা অত্যন্ত জটিল ব্যাপার। সব মিলিয়ে এমন ঘটনা খুব দায়িত্বহীনতার শামিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, যদি কোনো প্রশ্নপত্রে ভুল থাকে তাহলে ‘এ’ ইউনিটের সব অনুষদের ডিন বিষয়টি নিয়ে বসবেন। কোনো শিক্ষার্থী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। সাধারণত এমন হলে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের মান অনুযায়ী নম্বর পেয়ে যায়। তবে প্রশ্নপত্র তৈরিতে কারো গাফিলতি ছিল কি না, অনুষদের ডিনরা সেটি খতিয়ে দেখবেন।