নিরাপত্তা শঙ্কায় আজ আন্দোলনে নামেননি, দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাস এর পক্ষে আন্দোলনরত সকল ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীরা আজ (৩১ মার্চ) নিরাপত্তাজনিত তীব্র শঙ্কার কারণে কেউ কোনরূপ সমাগম করেনি। এছাড়াও, আন্দোলনরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের নামে মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন বুয়েটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় গতকাল শনিবার রাত থেকে ক্রমাগত মাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোন কলে হুমকি প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম গুজব, মিথ্যা ট্যাগ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ছবি ও নাম পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন সকল অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এমনকি বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
তারা আরও বলেন, নিরাপত্তাজনিত এ সকল কারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আজ ক্যাম্পাসে অবস্থান না নেওয়া মানে এই নয় যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্ররাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাস এর দাবি থেকে সরে এসেছে, এ দাবি বুয়েটের সকল ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) বুয়েট এর ২০ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষায় ক্যাম্পাসে কোনোরূপ অবস্থান আন্দোলন ছাড়াই, কোনো বাধা ছাড়াই নিয়মিত শিক্ষার্থীদের একজন বাদে সকল শিক্ষার্থীই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল। ১২১৫ জন ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২১৪ জনই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ থেকেই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কতটুকু সুদৃঢ়, তা সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
জানা যায়, আজ ২০ ব্যাচের যেই একজন শিক্ষার্থী টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, তার নাম সাগর বিশ্বাস জয়। মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী থাকায় বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে একদল শিক্ষার্থী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এ শিক্ষার্থী।
গতকাল ৩০ মার্চ বুয়েট ২২তম ব্যাচ এর প্রথম টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাতেও কোনো শিক্ষার্থীই অংশগ্রহণ করেনি অর্থাৎ গতকাল পরীক্ষায় অনুপস্থিতি ছিল শতভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মিডিয়ায় বুয়েটের আন্দোলনরত বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা আবারও সাফ জানিয়ে দিতে চাই যে, আমাদের অবস্থান কোন একক ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়, বরং বুয়েট ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের সকল ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে।