দুই পরিবারের যমজ চার বোন পেল জিপিএ-৫
টাঙ্গাইলে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুই পরিবারের যমজ চার বোন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে তাদের পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
টাঙ্গাইলের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল যমজ বোন অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্ণা। তারা দুজনেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। আগামীতেও তারা ভালো ফলাফল করে চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্নের কথা জানায়। অর্পার প্রাপ্ত নম্বর ১১২৩ ও অর্ণার প্রাপ্ত নম্বর ১১১৪। দুই বোনই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
অর্পা ও অর্ণা পৌর শহরের আদালত রোডের ওয়ালটন প্লাজার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহা ও গৃহিণী সুম্মিতা ঘোষ দম্পতির সন্তান।
অর্পিতা সাহা অর্পা জানায়, ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক হতে চায়। দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকার স্বপ্ন দেখছে সে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার আর্শিবাদ কামনা করেছে সে।
অর্মিতা সাহা অর্ণা জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে। স্বপ্ন পূরণে সবার আশীর্বাদ কামনা করেছে অর্ণা।
যমজ দুই কন্যার বাবা অনুপ কুমার সাহা বলেন, ‘আমি চাই মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ যেন হয়। তাদের স্বপ্ন ও আশা পূরণে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তারা যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে, এটিই আমার প্রত্যাশা।’
অপরদিকে, যমজ বোন আফরা নাওয়ার হক লাইবা ও আফরা আনিকা হক লামিয়া টাঙ্গাইলের বেসরকারি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তারা টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ইমদাদুল হক ও শায়লা পারভীন দম্পতির সন্তান। যমজ হওয়ার সুবাদে তাদের বেড়ে উঠা একইসঙ্গে। পড়াশোনাতেও ব্যতিক্রম নয়। ভালো ফলাফলের ক্ষেত্রেও যেন একে অপরের পরিপূরক। পাল্লা দিয়ে দুই বোনই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে জিপিএ-৫।
ফলাফলে লামিয়ার মোট প্রাপ্ত নম্বর ১১৮২ ও লাইবার প্রাপ্ত নম্বর ১১৯৬। তাদের মধ্যে লাইবা স্বপ্ন দেখছে বুয়েট থেকে পাস করে প্রকৌশলী হওয়ার। অপরজন লামিয়া স্বপ্ন দেখছে মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে চিকিৎসক হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করার।
লামিয়া জানায়, তাদের এ সাফল্যের পেছনে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও তাদের মা-বাবার অবদানটাই মুখ্য ছিল। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।
অপরদিকে লাইবা বলেন, ‘আমরা দুজন বোনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অনেক ভালো। পড়ালেখার ক্ষেত্রে আমরা একে অপরকে অনেক সহযোগিতা করতাম। পড়া কখনও জমিয়ে রাখতাম না। সময়ের পড়া সময়ে শেষ করতাম। পড়াশোনায় এ রকম রুটিন মেনে চলায় তা আমাকে ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে।’
যমজ লাইবা ও লামিয়ার মা শায়লা পারভীন বলেন, ‘কখনও আমার মেয়েদের পড়ার কথা বলতে হতো না। তাদের দুজনেই পড়াশোনার প্রতি অনেক আগ্রহী। তাদের এ সাফল্যে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই। আমি অনেক খুশি আমার যমজ সন্তানদের ফলাফলে।’
এ বিষয়ে লাইবা ও লামিয়ার গৃহশিক্ষক মানিক চাঁদ বলেন, ‘যখন থেকে আমি তাদেরকে পড়াই, ওদের মধ্যে কখনো পড়াশোনার প্রতি