থমথমে জাবি, সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় এক শিক্ষক, তিন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ভোর থেকেই ক্যাম্পাসে মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। উপাচার্যের বাসভবন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেছেন সিন্ডিকেট সদস্যরা। ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নূরুল আলম এই সভায় সভাপতিত্ব করছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ। হামলার ঘটনায় ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার আন্দোলনকারীরা উপাচারদের বাসভবনে আশ্রয় নিলে সেখানেও চলে ছাত্রলীগের তাণ্ডব। হামলায় ভাঙচুর করা হয় উপাচার্যের দুটি সরকারি গাড়িসহ তিনটি যানবাহন।
এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। এ সময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খন্দকার লুৎফুল এলাহীসহ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুজন—দৈনিক বাংলার জাবি প্রতিনিধি আব্দুর রহমান সারজিল ও বণিক বার্তার মেহেদী মামুন। গুলিবিদ্ধসহ গুরুতর আহতদের সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।