জাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা : বহিষ্কার ৮, তদন্ত কমিটি গঠন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগনেতা শামীম মোল্লা ক্যাম্পাসে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষ্ঠুর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আটজনকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ ২০১৮-এর ৩(২) (গ) ধারা অনুযায়ী তাদের ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে তাদেরকে ক্যাম্পাসে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান।
এদিকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে প্রধান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্য সচিব করে গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্য সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন–দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান, অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লাকে কয়েক দফায় মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে নেওয়া হলে সেখানেও তার ওপর হামলা চালানো হয়। রাত সোয়া ৮টার দিকে শামীমকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯ টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নীরব ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতন গণপিটুনির মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না।